1. admin@samokalbarta.com : admin :
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে ১৮ মামলার আসামী বাদীর পরিবার মাগুরায় বিশ্ব হাতধোয়া দিবস পালিত মাগুরায় সাবেক প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এর বিরুদ্ধে ১৩ বছর স্কুলে অনুপস্থিত থেকে বেতন তোলার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে । মধুখালীতে চন্দনা-বারাসিয়া নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত মাগুরার মহম্মদপুরে চলছে রমরমা অবৈধ বালু ব্যবসা সকল ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় কার্যকলাপ ইজ্জত, সম্মান ও নিরাপত্তার সাথে পালন করবেঃ মাগুরায় জামায়াতে আমির ডাঃ শফিকুর রহমান ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকার পতন আন্দোলনের সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও সম্পাদ বাজেয়াপ্ত করতে হবেঃ শায়েখে চরমোনাই মাগুরায় বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস উদযাপন। মাগুরায় গণ অধিকার পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন দুর্গা পূজায় পরাজিত অপ শক্তির সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে জনগণ -মাগুরায় নিতাই রায় চৌধুরী

মাগুরায় উপসহকারী প্রকৌশলীকে জামা-কাপড় খুলে মারধরের অভিযোগ নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

আজকের মাগুরা ডেস্ক
  • আপডেট সময় : সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩৪ বার পঠিত

মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী
এ এম আতিক উল্লাহ’র নির্দেশে একই অফিসে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল হুসাইনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার রাতে মাগুরা সদর থানায় শিমুল হুসাইনের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী এএম আতিক উল্লাহ।

নির্যাতনের শিকার উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল হুসাইন এবং তার সহকর্মীরা জানান, ১৪ জুলাই আতিক উল্লাহ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে মাগুরাতে যোগদান করেন; কিন্তু অধিকাংশ সময় জেলার বাইরে অবস্থান করেন। এতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উন্নয়ন সংস্কার কাজের সঙ্গে সঙ্গে দাপ্তরিক কাজকর্মে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়ে আসছে। অথচ অধস্তন কর্মকর্তা কর্মচারীরা তার কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা তো পাচ্ছেন না, উপরন্তু নানা দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণের শিকার হচ্ছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মরত অধস্তন কর্মকর্তা কর্মচারীরা গত ১ অক্টোবর যশোরে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষরিত ‘গণ বদলির’ আবেদন জানানো হয়। এ ছাড়াও গত ২ অক্টোবর মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এসব কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ এনে রোববার শিমুল হুসাইনের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনে  শিমুল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে  ভর্তি থাকার পরামর্শ দেন।

নির্যাতিত উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল হুসাইন বলেন, রোববার  সকালে অফিসে গিয়ে নিজের কক্ষে বসে কাজ করছিলাম। এর মধ্যে দুপুর ১২টার দিকে একই অফিসে কর্মরত আবদুল আজিজ, মমিন এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সিরাজসহ ৮-১০ জন আমাকে কিলঘুসি মারতে মারতে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত নির্বাহী প্রকৌশলী আতিক উল্লাহ আমার জামা-কাপড় খুলে অফিসের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখার নির্দেশ দিলে তারা মারতে মারতে আমার জামা এবং প্যান্ট খুলে ফেলে। এ সময় হাতজোড় করে সম্মানহানি না করতে অনুনয় করলে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে অফিসের সহকর্মীরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল হুসাইনের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিমুল নামের ওই উপসহকারী প্রকৌশলী এ অফিসের আগের নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে সরকারি অর্থ তসরুপের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। তিনি আমার অনুমতি ছাড়া অফিসের বেশকিছু গোপনীয় কাগজপত্র রাজশাহীতে মাগুরার পূর্বের  নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে প্রেরণ করেন। এর মাধ্যমে তারা সরকারি অর্থ লোপাটের সুযোগ পেতেন। বিষয়টি জানতে পেরে ১ অক্টোবর শিমুলকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। এতে বেকায়দায় পড়ে তিনি আমার বিরুদ্ধে অফিসের অন্যদের ইন্ধন দিচ্ছিলেন। এ বিষয়ে সবার সঙ্গে কথা বলার পর তারা প্রকৃত ঘটনা উপলব্ধি করেছেন। পরবর্তীতে অফিসের কর্মচারীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে উপসহকারে প্রকৌশলী শিমুলের অফিস কক্ষে যায় এবং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে ভুল যা হয়েছে এখন নির্বাহী প্রকৌশলী সাথে কথা বলে সেই ভুল শোধরানোর চেষ্টা করুন। কিন্তু এ সময় শিমুল কর্মচারীদের উপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে করে
কেউ ওই কর্মকর্তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে কিনা সেটি তদন্ত চলছে । আমি বিষয়টি উদ্ধতন  কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি তারা এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে সরকারি কার্যালয়ে এ ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ  কারো কাছে কাম্য নয়, এতে আমাদের সরকারি দায়িত্ব পালন ব্যাহত হয়।

এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার মন্ডল জানান, মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের
অফিস স্টাফদের মধ্যে অপ্রীতিকর একটি ঘটনা ঘটেছে। যেখানে শিমুল নামের একজন উপসহকারী প্রকৌশলী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন । তিনি এই ঘটনায় এ এম আতিক উল্লাহ (নিবাহী প্রকশলী সড়ক বিভাগ, মাগুরা), মোঃ আব্দুল আজিজ (সড়ক শ্রমিক মাস্টার রোল),  মোঃ মোমিন (সড়ক শ্রমিক মাস্টার রোল), মোঃ ফরহাদ হোসেন (নিরাপত্তা কর্মী সড়ক বিভাগ মাস্টার রোল) ও  মোঃ সিরাজ হোসেন (৩৫) এই পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মাগুরা সদর থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে  আইনগত  ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো বলে আশা করি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা