ফরিদপুরের মধুখালীতে অবস্থিত ফরিদপুর চিনিকল। ফরিদপুর চিনিকল অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির আয়োজনে বকেয়া পাওনার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ জুন বুধবার সকাল ১০ টায় উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রেলগেটে ফরিদপুর চিনিকল অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী কর্মকর্তা সমিতির আয়োজনে বকেয়া পাওনার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমিতির সভাপতি আলী আকবর শেখের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর চিনিকল শ্রমজীবি ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শাহিন মিয়া, ফরিদপুর চিনিকলের সাবেক কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা মোঃ আবুল বাশার বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহুরুল হক, মোঃ সিদ্দিকী আলী খান, মোঃ রেজাউল হক, মোঃ রফিকউদ্দিন মোল্যা ও মোঃ কাজলসহ প্রমুখ। মাবনবন্ধনে বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন ফরিদপুর চিনিকলের ২০১৪ সাল থেকে অবসরপ্রাপ্ত ৩শ ২৬ জন শ্রমিক কর্মচারীর ও কর্মকর্তাদের গ্রাইচ্যুটি, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরী কমিশন, মজুরী ও বেতন স্কেলের বকেয়াসহ ফরিদপুর চিনিকলের কাছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
ফরিদপুর চিনিকল অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের প্রায় ৩০ কোটি টাকা ফরিদপুর চিনিকল এর কাছে বকেয়া রয়েছে। বক্তাগণ বলেন ৭/৮ বছর অবসর গ্রহন করলেও পাওনা টাকা পাচ্ছি না। পাওনা টাকা না পাওয়ার কারনে ৩শ ২৬টি পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছি। মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের আকুল আবেদন ফরিদপুর চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত ৩শ ২৬টি পরিবার রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেন। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন কর্মসূচি করছি না আমরা আমাদের বকেয়া পাওনার দাবিতে আন্দোলন করছি যাতে করে আসন্ন ঈদুল আযহার আগেই আমাদের পাওনা টাকা পেয়ে পরিবার নিয়ে ঈদ উদযাপন ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারি। মানববন্ধন কর্মসূচী পরবর্তী একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে । মিছিলটি ঢাকা-খুলনা মহা সড়কের রেলগেট এলাকা প্রদক্ষিণ করে মানবন্ধন স্থলে এসে শেষ হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ ইউনুস আলী
ঠিকানা : আব্দুল মজিদ মার্কেট,
দ্বিতীয় তলা ভায়না মোড়, মাগুরা।