ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। আফিফ হোসেনের ফিফটি আর লিটন দাসের ৪৯ রানের সুবাদে স্কোর বোর্ডে ১৬৩ রান তোলে টাইগার বাহিনী।
১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে টাইগার বোলারদের অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের ফায়দা তুলেছে স্বাগতিকরা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটির দেখা পেয়েছেন কাইল মায়ার্স আর অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। এতে ৫ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখেই জয় পায় উইন্ডিজ। ফলে এবারের ক্যারিবীয় সফরে এখনও জয়-বঞ্চিত বাংলাদেশ দল।
১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন নাসুম আহমেদ। আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে ভোগানো ব্র্যান্ড কিংকে শুরুতেই বিদায় করেন তিনি।
দলীয় ৪৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ক্যারিবীয়দের চাপের সুযোগ ভালোভাবে নিতে পারলো না বাংলাদেশ। তিন উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ঠিকই দলকে পথ দেখান ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও কাইল মায়ার্স। এই দুজনের ব্যাটেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট হাতে ৩৮ বলে ৫৫ রান করেন মায়ার্স। আর পুরানের ব্যাট থেকে আসে ৭৪ রান।
এদিকে দলে ফেরার আগে অনেক আশার বাণী শুনালেও তেমন কিছুই করে দেখাতে পারেনি এনামুল হক বিজয়। প্রথম চার ওভার থিতু হয়ে যান দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও লিটন দাস। রানের গতি মন্থর হলেও আশা দেখান দুজন।
কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সেই আশা মিলিয়ে যায়। পঞ্চম ওভারেই ওডিন স্মিথের বলে উইকেট দিয়ে আসেন এনামুল।
এনামুলের পর উইকেটে গিয়েই স্মিথের শর্ট বলে বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন সাকিব আল হাসান। তবে ছন্দ ধরে রাখতে পারলেন না সাকিবও। পরের ওভারেই ৫ রান করে বিদায় নেন তিনি।
এরপর আফিফ হোসেনের সঙ্গে জুটি গড়েন লিটন। বেশ সময় তাদের জুটি স্থায়ী হলেও রানের গতি ছিলো মন্থর। তবুও এই জুটিতে ভালোই প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৩তম ওভারে এই জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়রের ডেলিভারিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে তার উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন লিটন। কিন্তু টাইমিং ঠিক রাখতে পারেনি। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ চলে যায় পয়েন্টের ফিল্ডারের হাতে। ভাঙে ৪৪ বল স্থায়ী ৫৭ রানের জুটি। ফেরার আগে ৪৯ রান করেন লিটন। ৪১ বলে তার ইনিংস সাজানো ছিল দুই ছক্কা ও তিন বাউন্ডারিতে।
লিটন ফিরলে বাকি সময় বাংলাদেশকে টানেন আফিফ হোসেন। ৩৮ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তার হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভারে ১৬৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। তার সঙ্গে ২০ বলে ২২ রান করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। নুরুল হাসান সোহান করেন ২ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৩/৫ (লিটন ৪৯, এনামুল ১০, সাকিব ৫, আফিফ ৫০, মাহমুদউল্লাহ ২২, সোহান ২*, মোসাদ্দেক ১০*; মেয়ার্স ২-০-১৪-০, ম্যাককয় ৪-০-২৯-০, আকিল ৪-০-৩১-০, স্মিথ ৩-০-৩৪-১, শেফার্ড ২-০-১৯-১, ড্রেকস ১-০-৬-০, ওয়ালশ জুনিয়র ৪-০-২৫-২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮.২ ওভারে ১৬৯/৫ (কিং ৭, মেয়ার্স ৫৫, ব্রুকস ১২, স্মিথ ২, পুরান ৭৪*, পাওয়েল ৫, আকিল ৩*; নাসুম ৪-০-৪৪-২, মেহেদি ৪-০-২১-১, সাকিব ২-০-১০-১, মোসাদ্দেক ৪-০-৩৪-০, মুস্তাফিজ ২-০-২৭-০, শরিফুল ১-০-১৩-০, আফিফ ১-০-১০-১, মাহমুদউল্লাহ ০.২-০-৭-০)।
ফল: ৫ উইকেটে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
Leave a Reply